জি,এম, আবু সাঈদ মিন্টু, স্টাফ রিপোর্টার:।।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে খুলনার কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের সদস্য ও কোস্ট গার্ডের অভিযানে এ মাংস জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনে অবৈধভাবে শিকার করা হরিণের ১মন ২২ কেজি মাংস উদ্ধার করেছেন কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের বনরক্ষীরা।
আজ শনিবার ভোরের দিকে কয়রা উপজেলার ঘড়িলাল গ্রাম সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদে যৌথ অভিযান চালিয়ে এই মাংস উদ্ধার করা হয়। এসময় বনরক্ষী ও কোস্ট গার্ডদের উপস্তিত টের পেয়ে শিকারীরা গহীন জঙ্গলের ভিতরে পালিয়ে যায়। তবে এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
কয়রার ঘড়িলাল গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গ্রামের পাশের একটি ছোট নদী পেরোলেই সুন্দরবনের গহিন জঙ্গল। হরিণশিকারিরা ছদ্মবেশে বনে ঢুকে নাইলনের দড়ি দিয়ে একধরনের ফাঁদ বানিয়ে হরিণের যাতায়াতের পথে রাখে। চলাচলের সময় প্রাণীগুলো সেই ফাঁদে আটকে যায়। এরপর বনের ভেতর থেকেই মাংস কেটে লোকালয়ে এনে তা বিক্রি করা হয়।
বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা কপোতাক্ষ নদ ধরে কয়রার ঘড়িলাল গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছে ভোরের আবছা আলোয় একটি নৌকা দেখতে পাই। এতে বসে দুজন বইঠা বাইছিল।
কিন্তু আমাদের ট্রলারটি ওই নৌকার কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই তাঁরা কপোতাক্ষ নদে ঝাঁপিয়ে পালিয়ে যান। পরে পরিত্যক্ত নৌকাটি তল্লাশি করে ভেতরের একটি পাত্রে বরফ দেওয়া অবস্থায় ৬২ কেজি হরিণের মাংস পেয়েছি।
বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন–সংলগ্ন কয়রায় ৩০টির বেশি চোরা শিকারি চক্র ফাঁদ পেতে হরিণ নিধন করে। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত শুধু কয়রা থেকে প্রায় ৫ মন হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের ছেড়ারখাল এলাকা থেকে ৯০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেন সুন্দরবনের খাঁশিটানা বন টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা।
এসব চোরা শিকার বন্ধে বন বিভাগের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বন্য প্রাণী শিকারে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্যদাতাকে পুরস্কার দিচ্ছি। এতে আগের তুলনায় বন্য প্রাণী শিকার কমেছে। আজ জব্দ করা হরিণের মাংস মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হবে।