এম এম আকাশ, পাবনা জেলা প্রতিনিধি:।।

পাবনা জেলার ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীর রক্ষা ও পুনরুজ্জীবিত করার জন্য  সরকারের পক্ষ থেকে ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করনে ১ হাজার ৫ শ ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।  তারা ইতোমধ্যে ইছামতি নদী ও শাখা খাল খনন কাজ ৬ টি স্লটে ভাগ করে ঠিকাদার নিয়োগ করেছেন। এম এস আহাদ বিল্ডার্স ১১০ কিলোমিটার খনন কাজ করছেন। গত বছরের ২৫ মে হতে খনন কাজ শুরু করলেও ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সূত্রে জানা যায় পাবনা শহরে নিম্ন আদালতে প্রায় ৯০ টি মামলা থাকায় খনন কাজ ধরছেন না। আন্দোলনকারীরা মনে করেন মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ থাকলেও নিম্ন আদালতের দোহাই দিয়ে তারা খনন কাজ ধীরগতিতে করছে।

পাবনাবাসী মনে করেন ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবিত করণে জেলা প্রশাসকের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া উচিৎ। পাবনাবাসীর প্রানের দাবি ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীর প্রান প্রবাহ নিশ্চিত করতে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নদী পাড়ের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খনন কাজ দ্রুত এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি করে গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার উপদেষ্টা, পাবনা জেলা বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি  বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস। 

সভাপতিত্ব করেন ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি এস এম মাহবুব আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখার নায়েবে আমির প্রিন্সিপ্যাল আলহাজ্ব ইকবাল হোসাইন।

বক্তারা ইছামতি নদী উদ্ধারের সাথে সাথে যারা ক্ষতিপূরণ পাবার যোগ্য তাদের ক্ষতিপূরণের টাকাটাও বন্টনের জর দাবি জানান।

ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়ক বরকত উল্লাহ  ফাহাদ, সংগঠনের সদস্য আমিনুর রহমান খান, হাসান আলী, খালেদ আহমেদ, আলেয়া, পারভিন, বুরহানউদ্দিন, আব্দুল কাদের, শামসুল আলী, নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ জাফর সাদেক, শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবাদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন বিন কাশেম,  শফিক আল কামাল সুবাহান মারুফ, আব্দুল মোমিন সাগরসহ সহস্রাধিক মানুষ।

মানববন্ধন শেষে সকল নেতাকর্মীরা র‍্যালি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।