মোস্তফা আল মাসুদ,বগুড়া:।।
বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জেদান আল মুসা, পিপিএম মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া জেলার জহুরুল নগর মদিনা মসজিদ সামনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০১ জন অপহরণকারী আটক , মুক্তিপণের মধ্যে ৫০০০/- টাকা ও ভিক্টিম রাকিবুল ইসলাম রিফাত(২২) পিতা- আব্দুর রউফ, সাং-উত্তর পেচুল, থানা-শেরপুর, জেলা-বগুড়াকে উদ্ধার করা হয়।
২৬/০২/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১.৩০ ঘটিকায় বগুড়া জলেশ্বরীতলা কালিমন্দির উত্তর পাশে নক্ষত্র কোচিং সেন্টারের সামনে। গত ইং ২৬/০২/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১.৩০ ঘটিকার সময় ভিক্টিম রাকিবুল ইসলাম রিফাত জলেশ্বরীতলা কালিমন্দিরের সামনে কোচিং সেন্টারে ঢোকার সময় অজ্ঞাতনামা ০৪ জন আসামী তাহার পথরোধ করিয়া টেনেহিচড়ে জোড়পূর্বক একটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে বগুড়া বাদুড়তলা এলাকার এক বাড়ীতে নিয়া গিয়া একটি কক্ষে আটক করিয়া রাখে। অজ্ঞাতনামা আসামীরা ভিক্টিমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৭৭৬-২০৭৬১৬ হইতে তাহার মামা মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৩৫) পিতাঃ মোঃ আঃ হান্নান সাং- শাহানগর থানাঃ শাহজাহানপুর জেলাঃ বগুড়া এর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৭৩৬-৫৫০২৩৮ ফোন করে ২,০০০০০/-(দুই লক্ষ টাকা) মুক্তিপণ দাবী করে। ভিক্টিমের মামা মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাইলে অজ্ঞাতনামা ০৫ জন আসামী ভিক্টিমকে অটোতে করিয়া ও পিছনে রিক্সায় ০৪ জন আসামী পাহাড়া দিয়া জোরপুর্বক বগুড়া আজিজুল হক সরকারী কলেজের পেছন সাইডের একটি পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে যায়। ভিক্টিমের নিকটে থাকা মানিব্যাগে ২৭০০/- (দুই হাজার সাত শত টাকা) জোরপুর্বক বাহির করিয়া নেয়।
অজ্ঞাতনামা আসামীগণ ভিক্টিমকে হকিস টিক, লোহার রড, লাঠি দিয়া পিঠে আঘাত করিয়া ফাটা জখম ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করিয়া ছেলাফোলা জখম করে। ভিক্টিমের মামা বাধ্য হইয়া তাহার ০১৭৩৬৫৫০২৩৮ বিকাশ নাম্বার হইতে ভিক্টিমের বিকাশ নাম্বার ০১৯৪১-৯৩২৬০৯ ইং ২৬/০২/২০২৫ তারিখ বিকেল ০৩.০৫ মিনিটে ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) ০৩.৪৯ মিঃ ৫০০০/- (পাচ হাজার টাকা) ০৪.২৮ মিঃ ২০০০/- (দুই হাজার টাকা) মোট ১৭০০০/- টাকা (সতের হাজার টাকা) সেন্ড মানি করে। উক্ত টাকা অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাহাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউট করে নেয়। অজ্ঞাতনামা আসামীগন আরো চাঁদা দাবি করিয়া হুমকি ধামকি ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়াইলে ভিক্টিমের মামা বগুড়া ডিবি পুলিশের সাহায্য নেয়। বগুড়া ডিবি বিষয়টি গুরুত্ত বিবেচনায় তাতক্ষনিকভাবে গোপন গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থলের আশেপাশে অবস্থান নেয়। ডিবি পুলিশের উপস্থিতি দেখে অজ্ঞাতনামা আসামীরা ভিক্টিমকে ছেড়ে দিয়া পালিয়া যাইবার চেষ্টা করলে ইং ২৬/০২/২০২৫ তারিখ বিকেল অনুঃ ৫.০০ ঘটিকার সময়ে বগুড়া জহুরুল নগর মদিনা মসজিদ সামনে হইতে আসামী ১। মোঃ রাতুল ইসলাম (২২), পিতা-মোঃ শাহিনুর ইসলাম, সাং-জহুরুলনগর, থানা ও জেলা-বগুড়াকে আটক করে। তাহার নিকটে থাকা মোবাইল ও আমার বিকাশ ০১৯৪১-৯৩২৬০৯ নাম্বার হইতে আসামী রাতুল এর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৭৬৬-৭৭৩০১৯ নেয়া বিকাশের ৫০০০/- (পাচ হাজার টাকা) উদ্ধারসহ ও ভিক্টিককে উদ্ধার করা হয়। আসামী রাতুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, পলাতক আসামী ০২। মোঃ ফারদিন আল মানসিফ (২৫) (মোবাঃ ০১৮৭২-৯৮৯৮৬১) বাবলা কাউন্সিলর এর ভাতিজা পিতাঃ অজ্ঞাত সাং- বাদুরতলা থানা ও জেলা বগুড়াসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন আসামী মিলিয়া ভিক্টিমকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী করা সহ মুক্তিপণ আদায় ও মারপিট করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নাম ও ঠিকানাঃ
০১। মোঃ রাতুল ইসলাম (২২), পিতা-মোঃ শাহিনুর ইসলাম, সাং- বাদুরতলা এপি/ জহুরুলনগর, থানা ও জেলা-বগুড়া। ভিক্টিমের নাম ও ঠিকানাঃ রাকিবুল ইসলাম রিফাত (২২), (এন আইডি-১৫২৪৪০৭৫৯৮) পিতা- আব্দুর রউফ, সাং-উত্তর পেচুল, থানা-শেরপুর, জেলা-বগুড়া। জব্দকৃত আলামতের বর্ননাঃ ০১। একটি এন্ড্রোয়েড ফোন। ০২। মুক্তিপণের ৫০০০/- টাকা।
পলাতক অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা বদ্ধপরিকর।