ইমন চৌধুরী স্টাফ রির্পোটারঃ।।
গাজীপুরের ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধে প্রাণী সম্পদ বিভাগ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের কে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে গাজীপুরের হায়দরাবাদ এলাকায় ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা
অনুমতি ছাড়াই গত কয়েক মাস ধরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করায় প্রশাসন বিষয়টি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. এস এম হারুন-অর-রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মৌখিকভাবে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হারাম নয়। তবে ঘোড়া আমাদের দেশে বিলুপ্তপ্রায় একটি প্রাণী। এ কারণে বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়া জবাই করতে হলে সরকারের অনুমতি এবং নির্দিষ্ট কসাইখানার অনুমোদন প্রয়োজন, যা উদ্যোক্তারা নেননি।
চলতি বছরের শুরুতে গাজীপুরের হায়দারবাদ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়ার মাংস বিক্রি শুরু হয়। প্রথমে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করা হলেও চাহিদা বাড়ায় পরে ৩০০ টাকা কেজি করা হয়।
ঘোরার মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, গরুতে চর্বি আছে, ঘোড়ার মাংসে কোনো চর্বি নেই। খেতেও গরুর মাংসের চেয়ে সুস্বাদু। খাওয়ার পর হাত ধুতে সাবান লাগে না। প্রথমে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতাম। এখন বিক্রি করি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়।
শুরুতে এলাকার অনেকে নানা কথা বলে সমালোচনা করত। এখন আর কেউ কিছু বলে না। তবে এলাকার মানুষ খুব কমই নেয়, দূর-দূরান্ত থেকে অনলাইনেই বেশি বুকিং হয়, বলেন তিনি।
স্থানীয় আত ত্বাকওয়া মসজিদ ও মাদ্রাসার উপদেষ্টা আব্দুল কাদির খন্দকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইসলামের দৃষ্টিতে ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ নয়। হাদিস অনুযায়ী, আল্লাহ তায়ালা গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু ঘোড়ার মাংসের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আমি নিজেও এই মাংস খেয়েছি এবং স্বাদ ভালো লেগেছে।