মোঃ জনি আহমেদ জীবন, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:।।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়ায় সামাজিক দ্বন্দের জেরে স্বজনদের হামলায় বকুল বিশ্বাস (৫৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত বকুল হাতিয়া গ্রামের মৃত আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। এঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
নিহত বকুলের চাচাতো ভাই হামলায় আহত নিয়াজি খান জানান, গত বৃহস্পতিবার তার চাচি জাহানার খাতুন মারা যান। শনিবার কুলখানির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের রান্না ও দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে আরেক চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসের সাথে আমাদের বিরোধ বাধে। শিপন বিশ্বাস আমাদের বলে আমার সমাজের লোকজন নিয়ে কুলখানির অনুষ্ঠান করতে হবে। এতে আমরা অসম্মতি জানায়।
এরই জের ধরে আজ সোমবার সন্ধার পরে নিহত বকুলসহ আমরা কয়েকজন নিজ বাড়ীর সামনে বসে থাকা অবস্থায় শিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৩০/৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বকুলসহ ৬জন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকুল মারা যায়। শিপন বিশ্বাস নিজে নিহত বকুলের বুকে ফালা দিয়ে আঘাত করে বলেও দাবী করেন নিয়াজি খান।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদি হাসান বকুল হত্যার ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সামাজিক দ্বন্দে স্বজনদের হামলায় বকুল নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বকুল হত্যার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।