কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী আরজত আতরজান স্কুল পাঁচজন সহকারী শিক্ষককে বিনা নোটিশে বিধির বাহিরে প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিগত ক্ষমতার অব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেন ৷জানা যায়১০-০২-২০২৫ইং তারিখে কোন নোটিশ ছাড়াই পাঁচজন সহকারী শিক্ষককে অব্যাহতি দেন ৷যে সব শিক্ষকদের অব্যাহতি দেন তারা স্কুলে বিভিন্ন বিষয়ে বিধি অনুসারে নিয়োগের মাধ্যমে স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন৷
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না ,কেননা দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুলে সহকারী শিক্ষক অস্থায়ী হিসেবে কর্মরত আছি নাম বললে আমাদের আরও বেশি অসস্মান হবে ৷ তাদের মধ্যেএকজন বলেন কোন নোটিশ না দিয়েই আমাদের স্কুল না আসার জন্য প্রধান শিক্ষক (আবুবকর ছিদ্দিক)বলেন৷তারা আরও জানান আমাদেরকে কেন স্কুলে না আসতে বলা হচ্ছে তার কারন প্রধান শিক্ষককে জিঞ্জেস করলে ষ্টাফ মিটিংনের একটি কাগজ ধরিয়ে দেয় সবাইকে যা বিধি মোতাবেক গ্রহনযোগ্য নাই৷তাদের মধ্যে ভুক্তভোগী একজন সিনিয়র সহকারী শিক্ষককের সাথে কথা বললে তিনি জানান ,প্রধান শিক্ষক সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে প্রায় ২বছরের বকেয়া বেতন না দিয়ে স্কুলের বিধি অনুসরন না করেই পাঁচজন শিক্ষককে স্কুলে পাঠদান থেকে বিরত রাখেন যা কোন ভাবেই কেউ মেনে নিতে পারছেন না৷
সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন৷স্কুলের বিধি মোতাবেক স্কুলের শিক্ষকগণ মিটিং করে স্বাক্ষর দিয়ে অন্য শিক্ষককের চাকরী বাতিল বা পাঠদানের বিরত রাখার কোন একতিয়ার নেই৷এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসে এই বিষয়ে বললে জানা যায় এটা কোনভাবেই নির্বাচিত কমিটি ছাড়া করতে পারে না৷এই কাজটি সম্পূর্ণ অন্যায় হয়েছে ৷লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জেলা শিক্ষা অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন৷জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে আরও জানা যায় যদি নিয়োগকৃত কোন শিক্ষককে চাকরী থেকে অব্যাহতি দিতে তাহলে তার একটি নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে করতে যা আরজত আতরজান স্কুলের ৫জন শিক্ষককের ক্ষেত্রে করা হয়নি৷এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন ৷
এই বিষয়ে আরজত আতরজান স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন সকল শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে ষ্টাফ সিদ্ধান্তে কাজটি করা হয়েছে৷কাজটি বিধি মোতাবেক হয়েছে কিনা জানতে যাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক এই বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি৷ ৷ভুক্তভোগী শিক্ষককের দাবি একটাই যেন তাদের শিক্ষকতা পেশা ফিরিয়ে দিয়ে পাঠদান করার ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককের কেন এমন অন্যায় করে শিক্ষকদের যারা মানহানি করেছেন তার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছেন৷