ঢাকা | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাড়ে ৩ হাজার প্যাকেট আতশবাজিসহ গ্রেপ্তার দুই

  • আপলোড তারিখঃ 29-03-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 48979 জন
সাড়ে ৩ হাজার প্যাকেট আতশবাজিসহ গ্রেপ্তার দুই ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

বসতবাড়িতে অবৈধভাবে মজুত সাড়ে তিন হাজার প্যাকেট আতশবাজিসহ বগুড়ার সদরে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় অভিযানে আতশবাজি তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়।


শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে থানা পুলিশ। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সদরের ভাটকান্দি এলাকার একটি বাড়িতে পুলিশের অভিযানে ওই দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন।


গ্রেপ্তার দুজন হলেন, বগুড়া পৌরসভার মালতিনগরের এমএস ক্লাব মাঠ এলাকার বাসিন্দা মোঃ জুয়েল রানা (৩৩) ও ভাটকান্দি দক্ষিনপাড়ার মোঃ হারুন (২৮)।


বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাটকান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এতে জুয়েল ও হারুন আতশবাজিসহ গ্রেপ্তার হয়।


এ সময় তাদের কাছে ৩,৫৪০ প্যাকেট আতশবাজি জব্দ করে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া আতশবাজীর (পটকা) আনুমানিক বাজার মূল্য দুই লাখ বার হাজার চারশ টাকা। পরে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এর ৪/৫/৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।


গত বছরের ২৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মালতিনগরের মোল্লাপাড়ায় রেজাউল ইসলামের বাড়িতে আতশবাজি থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রেজাউলের স্ত্রী রেবেকা (৩৮), মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫), ভাতিজি জিম (১৬) এবং রেজাউলের প্রতিবেশীর মেয়ে তাসনিম বুশরা (১৪) আহত হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুশরাকে ঢাকায় নিলে ৪ মে রাতে মারা যায় সে। রেজাউলের মা ও ভাই আতশবাজি তৈরির সাথে জড়িত ছিল।


মালতিনগরের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় সদর থানাধীন বনানী ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় রেজাউল করিমকে আসামী করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।


মালতিনগরের স্থানীয়দের কাছে জানা গেছে, এই এলাকায় আতশবাজি বা পটকা তৈরির ইতিহাস প্রায় ৫০ বছরের। মালতিনগরের এমএস ক্লাব মাঠ এলাকার ওয়াজেদ আলীর বাবার বিস্ফোরক আমদানির লাইসেন্স ছিল। সেই সুবাদে আতশবাজি তৈরির প্রচলন শুরু হয়। পটকা তৈরি করতে গিয়ে ১৯৮৯ সালে রফিকুলের বাবা ওয়াজেদ আলী, মা নেবুর জান ও ৩ বছর বয়সী এক বোন নিহত হোন। পরবর্তীতে ওয়াজেদের ছেলে রফিকুল ও তার ভাইয়েরা ব্যবসা চালু রাখেন।


মূলত ঈদ ও পূজাকে কেন্দ্র করে মালতিনগর এলাকায় পটকা তৈরি করা হয়। মালতিনগর এলাকার নিম্নবিত্ত বা খেটেখাওয়া পরিবারের সদস্যরা এই পটকা তৈরির কাজ করেন। বিশেষ করে নারীরা ঘরে বসে এই কাজ করে থাকেন।


এই এলাকায় মোট কত পরিবার পটকা তৈরির কাজে জড়িত সেই সংখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন অন্তত ৪০ পরিবারের নারীরা পটকা তৈরি করেন। এক হাজার পিস পটকা তৈরি করে কাজের ধরণ অনুযায়ী ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন কারিগররা।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ সেলিম মিয়া

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

নরসিংদীর শিবপুরে মাছ বাজার পরিদর্শন করলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর