গরমের তীব্রতায় অসহনীয় হয়ে পড়েছে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার পৌর শহর সহ ১১টি ইউনিয়নবাসীর জনজীবন। একটু শীতল পরশ পেতে পুকুরের দূরন্তপনায় মেতেছে শিশুরা।
রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কেশবপুরের শ্রমিক থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষরা জ্যৈষ্ঠ মাসে এ অসহনীয় তাপদাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।
গত কয়েক দিন ধরেই চলছে এ অবস্থা। তবে প্রচন্ড তাপদাহে বেশি দূর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায় লোকজনকে।
এ ছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা কমে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে।
আজ ২৮ মে (রবিবার) কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সূর্যের তাপ এত বেশি যে, হাঁটলেই গরম বাতাস অনুভূত হচ্ছে অনেক কে দেখা গেছে যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে, বাসে কিংবা যানবাহনে হাতপাখার বাতাস দিয়ে গরম কমানোর চেষ্টা করছে। আবার অনেক জায়গায় দেখা গেছে লোডশেডিং এ ও অতিষ্ঠ জনগণ।
জানা গেছে।প্রতিদিন নিয়মিত ৩/৪ ঘন্টায় লোডশেডিং এ ভুগছেন জনগণ। গরমে সবচেয়ে কষ্টে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো এছাড়া শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে রিতীমতো বিপাকে পড়েছে পরিবারের লোকজন।
তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে কেশবপুর শহর সহ বিভিন্ন যায়গায় লেবুর শরবত ও খাবার স্যালাইন কেনার হিড়িক পড়েছে। ইলেকট্রনিক দোকান গুলোতে দেখা গেছে ফ্যান ও এসির বিক্রি বেড়ে গেছে অনেকটা আর ফুটফাটে দেখা গেছে হাতপাখাও বিক্রি হচ্ছে বেশ।
দিনের একাংশে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায় গাছের ছায়ায় খেটে খাওয়া কয়েকজন মানুষ লাইন ধরে বসে আছেন। কারও গলায় গামছা পেঁচানো। কিছুক্ষণ পরপর গাঁ মুছছে।
আফজাল হোসেন বলেন জানান, সকালে বের হয়েছেন কাজে এত গরমে আর পারছেন না তাই গ্রামে গাছের ছায়ায় একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন তাঁর সঙ্গে বসা ছিলেন আরো একজন দিনমজুর, তাঁর সাথে কথা বলতে চাইলে নিজেকে অনেকটা ক্লান্ত বলে জানান তিনি।