ঢাকা | বঙ্গাব্দ

উন্নয়নের স্বর্ণযুগেও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসীর যাতায়াত

  • আপলোড তারিখঃ 14-07-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 446473 জন
উন্নয়নের স্বর্ণযুগেও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসীর যাতায়াত ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পুরান বৌলাই এলাকার নরসুন্দা নদীর উপর পাকা সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে কয়েক গ্রামের মানুষ। নড়বড়ে এ সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ। চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় পথচারীদের। অথচ এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের হাজারো মানুষের জীবনমান।



নরসুন্দা নদীর উপর নির্মিত অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে পুরান বৌলাই ও করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজংগল ইউনিয়নের গাংগাইল পাঠানপাড়া এলাকার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে চেষ্টা তদবির চালিয়ে অবশেষে ব্যর্থ হয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছেন।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কয়েকটি বাঁশ দিয়ে তৈরি বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে আছে  সাঁকোটি। এ সাঁকোটি তুলনামূলক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ ছাড়াও নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠা স্কুল  কলেজ, মাদ্রাসাসহ চার পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত-শত শিক্ষার্থী।


স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,স্বাধীনতার পর থেকে এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা দাবী জানিয়ে আসলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় অস্থায়ী এ বাঁশের সাকো তৈরী করে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।


এ বিষয়ে কাদিরজংগল ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ উদ্দিন আহমেদ কনক বলেন,ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোটির জায়গায় স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণের জন্য চেষ্টা করে দেখবো কি করা যায়।


কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, এখানে সেতু নির্মাণের জন্য আমি আগেও চেষ্টা করেছিলাম  কিন্তু ব্রিজের এক মাথা করিমগঞ্জের কাদিরজংগল ইউনিয়নে পড়ায় ওই এলাকাবাসীর বাধার কারণে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন আনার পরেও ব্রিজ নির্মাণ করা যায়নি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রিপন আহমেদ

notebook

নরসিংদীর শিবপুরে মাছ বাজার পরিদর্শন করলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর