মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর মামলায় সমালোচিত সাংবাদিক জালাল উদ্দিন ভিকুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বু ধবার দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জালাল উদ্দীন ভিকু দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে। তিনি জাতীয় পত্রিকার যায়যায়দিন পত্রিকার দৌলতপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
এজহারপত্র সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সনের ৯ জুন রাতে দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর এলাকার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. শরিফুল ইসলামকে হত্যার উদ্যেশে তার বাড়িতে হামলা চালায় জালাল উদ্দিন ভিকুসহ প্রায় ২৫জন আসামী। হামলায় বসতঘর ভাঙচুর ও ঘরের ভিতরে থাকা মূল্যবান জিনিষপত্র ও টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায় তারা। এঘটনায় শরিফুল ও তার স্ত্রী গুরুতর আহত হয় পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে পার্শবর্তী নাগরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে এঘটনায় থানায় মামলা করতে যায় ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম। কিন্তু সাংবাদিকতার পাশাপাশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকদলের নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা থাকায় থানা পুলিশ মামলা নেয়নি এরপর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৩ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় জালাল উদ্দিন ভিকুসহ ৩জনের নাম উল্লেখ্য করে আরও ২০-২৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা শরিফুল ইসলাম।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম জানান, মামলার পর প্রাথমিক তদন্ত শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বৃহস্পতিবার তাকে আদলতে প্রেরণ করা হবে এবং বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও ওসি জানান।
উল্লেখ্য,সাংবাদিক জালাল উদ্দিন ভিকুর বিরুদ্ধে দৌলতপুরবাসী নারী কেলেঙ্কারী ও চাঁদাবাজির একটি লিখিত অভিযোগ দেয় প্রেসক্লাব ও প্রশাসনের কাছে পরে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালে তাকে দৌলতপুর প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কার করা হয়।