ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলায় চলছে ৯ দফা দাবি প্রস্তাবনার সমাবেশ

  • আপলোড তারিখঃ 09-08-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 425769 জন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলায় চলছে ৯ দফা দাবি প্রস্তাবনার সমাবেশ ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

সারা দেশের মতো ভোলায় ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ছাত্র জনতার রাষ্ট্র সংস্কারে ঘোষিত ৯ দফা দাবি প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে গণ -সমাবেশ। ০৯ আগস্ট শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলার শাখার  সভাপতি আতাউর রহমান মনতাজি সাহেবের সভাপতিতে   ভোলা নতুন বাজার চত্বরে ৯ দফা দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় বক্তারা শেখ হাসিনা স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে  বলে দেশের খুন, ঘুম, বোমাবাজি, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কে গুলি করে মারার দুঃখ প্রকাশ করে। এবং সেই সাথে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কে ধন্যবাদ জানাই। এবং কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যারা শহীদ বরণ করেছেন। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।  

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৯ দফা দাবি উপস্থাপনা করা  অনতিবিলম্বে দাবি সমূহ।

১) অনতিবিলম্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এমন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে অনুর্ধ্ব ১৫ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্ব্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। যার মেয়াদ ৬ মাসের বেশি হতে পারবে না 

২) অন্তর্ব্বর্তীকালীন সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেনা। 

৩) গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। একই সাথে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আহত/নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনৈতিক ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। 


৪) তদন্ত সাপেক্ষে গত ১৬ বছরের সকল দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিগত ১৬ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সকল দুর্নীতি ও টাকা বাজারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। 

৫) আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ, লঙ্ঘন অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। 

৬)দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জলগোষ্ঠীর চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

৭) নির্বাচন কমিশনকে পূণর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ,সুষ্ঠ গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (চ.জ) চালু করতে হবে। 


৮) আওয়ামী দুঃশাসনের বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এদেশের সাধারণ শিক্ষাখাতের মান ও নৈতিকতা। এই ক্ষতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

৯) উলামায়ে কেরাম জাতির ধর্মীয় নেতৃত্ব প্রধান করেন। তারা উম্মাহর ঈমান-আমল রক্ষায় কাজ করেন। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে থেকে প্রতিনিধি অবশ্যই থাকতে হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ স্বাধীন ৭১

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

নরসিংদীর শিবপুরে মাছ বাজার পরিদর্শন করলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর