ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির পানির অভাবে

  • আপলোড তারিখঃ 13-05-2024 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 492376 জন
ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির পানির অভাবে ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

জিকের প্রধান খালে পানি না থাকায় স্থানীয়রা ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেছেন,কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত দেশের বৃহৎ গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের পাম্প গত তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।


জিকে সেচ প্রকল্পের পাম্প বন্ধ থাকায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চাল জেলার প্রায় ১ লাখ হেক্টর জমি ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পানির অভাবে ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। এতে চাষিরা যেমন দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তেমনি এই এলাকার জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের সম্মুখীন। জিকে খালে পানি না থাকায় কুষ্টিয়া জেলায় ১ লাখেরও অধিক টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। সুপেয় পানির অভাবে মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।


এদিকে, জিকের প্রধান খালে পানি না থাকায় ভেড়ামারার ৩নং ব্রিজ সংলগ্ন খালসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়রা ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করছে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৬২ সালে এই প্রকল্পের মাধ্যমে পদ্মা নদী থেকে ইনটেক চ্যানেলে পানি এনে পাম্প করে খালের মাধ্যমে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের চার জেলার ১৩টি উপজেলার জমিতে পানি সরবরাহ শুরু হয়।


শুরুতে বছরের ১০ মাস (১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর) দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তিনটি পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলা হতো। বাকি দুই মাস চলত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ। ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালের মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের পানি কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার কৃষকরা পেতেন।


শুরুতে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরা জেলার ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। নব্বইয়ের দশকে ১ লাখ ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হয়। বিঘাপ্রতি মাত্র ২০০ টাকার বিনিময়ে কৃষকরা সেচ প্রকল্পের (জিকে) পানি পেতেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ রিপন আহমেদ

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

নরসিংদীর শিবপুরে মাছ বাজার পরিদর্শন করলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর