বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন,রংপুর মহানগর শাখার মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের চাঁদাবাজি ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রংপুর নগরীর শিমুল বাগ কমিউনিটি সেন্টারে সোমবার ৩ মার্চ বিকালে অনুষ্ঠিত হয়।উত্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন। আমি মোঃ আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও আমার বোন মোছাঃ জেবুন নেছা দুজনেই কানাডা প্রবাসী। আমরা প্রবাস জীবনের দীর্ঘ ২১ বছরের সকল আয় বিনিয়োগ করে রংপুর গ্রীন সিটি ইকো পার্ক নামক প্রতিষ্ঠানটি তিলে তিলে গড়ে তুলেছি যাহা আমাদের কাছে সন্তানতুল্য।
এরই মধ্যে গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর শাখার মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার এর নেতৃত্বে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা নগদ ও প্রতিদিন ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা চাদা দাবী করা ও মোবাইল ফোনে প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি প্রদান করাতে আমি ও আমার সকল কর্মচারীগন জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। যার কিছু অংশ ইতিমধ্যে নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রতিদিন একটার পর একটা চলছে মিডিয়ার ট্রায়াল। নিজের ও কর্মচারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হলাম।
আইনের মাধ্যমে সঠিক সত্য উদঘাটন হবে ইনশাআল্লাহ্। সার্ভিস ও হাসনাত আবদুল্লাহ সহ সকল সৎ নির্ভিক আগামীর নেতৃত্বের প্রতি দোয়া ও ভালোবাসা আপন করে এই ধরনের অসৎ চাদাবাজদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ রইল। বর্তমান প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা শতভাগ করে জনগনের সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যেন কোন অপরাধ করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
এই চাদাবাজ নাহিদের (মুখ্য সমন্বয়ক, মহানগর, রংপুর) পক্ষে আজহারুল ইসলাম নামে যে ব্যক্তি প্রেস কনফারেন্স করেন । তিনি ইতিপূর্বে আমার একাউন্ট থেকে ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে ৬৫,০০,০০০পঁয়ষট্টি লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এজন্য দীর্ঘ দিন জেল/কারা বাস করেন। যার মামলা নং- সি.আর-১১৬/২০ । এছাড়াও স্বামী স্ত্রীর নামে একটি স্ট্যাম জালিয়াতির মামলা বিচারাধীন। যাহার মামলা নং- জি.আর-৩১৯/২২।
এছাড়া আরও অনেক মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে । সুতরাং নাহিদ আর আজহারুল গং যদি একই সুতায় গাঁথা মালা হয় তাহলে এই চাঁদাবাজী উভয়েরই যৌথ পরিকল্পনা যাহা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী । এর আগে শনিবার ১মার্চ একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিওতে শোনা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকারের সঙ্গে এক ব্যক্তির টাকা নিয়ে দরকষাকষি হচ্ছে।