ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভোলায় ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান ও প্রশাসকের লাগামহীন দুর্নীতি

  • আপলোড তারিখঃ 17-03-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 72197 জন
ভোলায় ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান ও প্রশাসকের লাগামহীন দুর্নীতি ছবির ক্যাপশন: স্বাধীন ৭১
LaraTemplate

ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতি করে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।


এর প্রতিবাদে, অর্থ আত্মসাৎকারী প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী’র বিরুদ্ধে উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য/সদস্যারা অনাস্থা প্রকাশ করে তাদের স্বাক্ষরিত অনাস্থা কপি ভোলা জেলা প্রশাসক, দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।


অন্যদিকে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে সুপারিশ পত্র দাখিল করেছেন সম্মিলিত বিক্ষুব্ধ ইউপি সদস্যরা। কিন্তু এখন পযর্ন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দূর্ণীতিবাজ প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান তারা।



জানা যায়, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বহাল তবিয়তে দন্ডায়মান রয়েছে ওই দূর্ণীতিবাজরা।



এ ব্যপারে উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগ ও ভিডিও বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, মিলন চৌধুরী প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউনিয়ন পরিষদ মাসিক সভা করেননি। তিনি গোপনে গোপনে কিছু সদস্যদের ভয় দেখিয়ে নোটিশবহি ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেয়। মাসিক সভা সঠিক নিয়মে না করায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্বভ হচ্ছে না এবং সাধারণ জনগনও ইউনিয়নের কোন তথ্য জানতে পারছে না।



২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ১৪,৫৪,০০০/- টাকা ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ প্রদান করা হলেও উক্ত টাকায় ৫টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কোন কাজ না করে ইউপি তহবিল থেকে উক্ত টাকা উত্তোলন করে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে যায়। প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদ তাদেরকে কোন প্রকার তথ্য প্রদান করছে না।


সোনালী ব্যাংক লিঃ, দৌলতখান শাখায় টাকা উত্তোলনের তথ্য জানতে চাইলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট না দিয়ে বলে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং তারা বলে ব্যাংক স্টেটমেন দেওয়া যাবে না।



চলতি বছরে টি.আর নগদঅর্থ ১৬,৫০,০০০/- টাকা, কাবিটা ১৮,৫০,০০০/- টাকা, কাবিখা ১২.০০০ মেঃ টন চাউল/গম এবং ইউ.পি উন্নয়ন খাতে ৭,৫০,০০০/- টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।


ইউ,পি সভা না করে প্যানেল চেয়ারম্যান সচিবকে নিয়ে নিজ ইচ্ছা মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেছেন।



ইউনিয়ন পরিষদ তহবিল থেকে ৫০,০০০/- টাকা উত্তোলন করে প্যানেল চেয়ারম্যান নিজ কাজে ব্যয় করেন। সচিবের নিকট হিসাব জানতে চাইলে ইউপি সদস্যদের হিসাব দিচ্ছে না।



মিলন চৌধুরী প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে আদায়কৃত টাকা ইউ,পি তহবিলে জমা না করে নিজ ইচ্ছামতো ব্যয় করন। ইউ,পি হিসাবের বাহিরে ভূয়া নাম্বার দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করছেন।


২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে অনুমান ২৪,০০,০০০/- (চব্বিশ লক্ষ) টাকার উর্ধ্বে ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে। উক্ত টাকার কিছু টাকা ইউনিয়ন তহবিলে জমা করা হয়েছে। জমাকৃত টাকার বেশির ভাগ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। অবশিষ্ট টাকার কোন হিসাব নাই। হিসাব জানতে চাইলে সচিব নিয়াজ মোর্শেদ বিবিধ খরচের কথা বলে এড়িয়ে যায়।



প্যানেল চেয়ারম্যান বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং ভিজিডি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সাধারন মানুষের নিকট থেকে ৫,০০০/- টাকা করে নিয়েছেন। ইউ,পি থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সাধারন মানুষ নিচ্ছে নাগরিক সেবা।



বিগত দিনগুলোতে প্যানেল চেয়ারম্যান ভিজিডি ও জেলেদের বিজিএফ এর চাউল উত্তোলন করে কিছু চাউল জেলে এবং সাধারন মানুষের মধ্যে বিতরন করে অবশিষ্ট বেশিরভাগ চাল বিক্রয় করে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।



এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জিরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ, উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের বিক্ষুধ্ব ইউপি সদস্য/সদস্যা ও ওই ইউনিয়নের সচেতন মহল।



এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেণ।



এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ মোঃ সেলিম মিয়া

সর্বশেষ সংবাদ
notebook

নরসিংদীর শিবপুরে মাছ বাজার পরিদর্শন করলেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর