ভোলার মনপুরায় জংলার খাল এলাকার স্লুইসগেট টি রুপ নিয়েছে মরন ফাঁদে। তদারকির অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে মনপুরা উপজেলার ২ নং হাজীরহাট ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ড এর চরযতিন এলাকার জংলার খাল এর স্লুইসগেট টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়াবদা) এট আওতায় জংলার খাল এলাকার সুইসগেট। নদ-নদীর জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিকতা রক্ষা আর কৃষি কাজে জনমানুষের সুবিধার জন্য ১৯৯৩ সালে এটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়াবদা)।
১৯৯৩ সাল থেকেই মনপুরার বিভিন্ন এলাকায় স্লুইসগেট বসানো হয়েছে। এ দিকে জংলার খল এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম, রবিউল হক ৮০ বলেন। আমাদের এলাকায় এই স্লুইসগেট টি নির্মাণ করেছে ১৯৯৩ সালে মানুষের কাজে আসার জন্য।
মানুষের কাজে আসা তো দূরের কথা, স্লুইস গেট টি সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে আজ প্রায় ৫ বছর ধরে এর ভিতর ৩ বছর আগে ইলিয়াস চৌধুরী স্লুইসগেট এর চার টি দরজা পাল্টে নতুন দরজা লাগায় দরজা লাগানোর পরের বছর একটি দরজা ছুটে পরে জায় তার পরের বছর আরো দুইটি দরজা ছুটে পরে জায় এর ফলে গত বছর বর্ষার মৌসুমে স্লুইসগেট এর দরজা না থাকার কারনে চারটি ওয়ার্ডে দুইটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের মানুষের প্রায় ৪৮০ একর জমিনের কয়েক কুটি টাকার আবাদি ফসল ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
জংলার খাল এলাকার ব্যাবসায়ী মো: রত্তন মহাজন, বলেন গত বছর বর্ষার সময় জোয়ারের পানি উঠে আমার পুকুরের প্রায় দুই লক্ষ টাকার মাছ চলে যায়। গ্রাম এর লোকজন এর ও অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এই বছরেও মেরামত করা হয় নি স্লুইসগেট এর দরজা গুলো ১৫ দিন আগে জোয়ারের লবনাক্ত পানি উঠে মানুষের দুলুট এর ফসল এর ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
জংলার খাল এর স্থানিয় বাসিন্দা আলহাজ্ব শামসুদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী জানান, এই স্লুইসগেট টি অনেক বছর ধরে অকেজো হয়ে আছে। এই গেইটটি তিন বছর আগে মেরামত করা হলেও মানুষের দুর্ভোগ কমার পরিবর্তে আরো বেরেছে। এই ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে সোনার চর এবং চরযতিন এর লোক জন না খেতে পেয়ে মরতে হবে তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়াবদা) এর কাছে অনুরোধ এই স্লুইসগেট টি যেন বর্ষার আগে মেরামত করা হয়।
এদিকে স্লুইসগেট মেরামতের সম্পর্কে জানার জন্য, পানি উন্নয়ন বোর্ড(ওয়াবদা) এর (এসও) মো: আব্দু রহমান এর কাছে মুঠো ফোনে কল দিলে জানান এই কাজটি ঠীকাদার কোম্পানি ওয়েস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এর কাছে দেওয়া হয়েছে কাজটি করতে হয়তো দুই বছর সময় লাগতে পারে।