ভোলায় কড়া রোদ, তীব্র গরম, যানজট, উচ্চ শব্দের হর্ন সব মিলিয়ে বিভীষিকাময় এক পরিস্থিতি ভোলাজুড়ে। আর এসবের মাঝেও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। যখন তীব্র গরমে সাধারণ মানুষ বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছে তখন যানজট নিয়ন্ত্রণে তারা সড়কে দাড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছে সত্যাতা ও নিষ্ঠার সাথে। ২৭শে এপ্রিল (শনিবার) অসহায় নারী পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং নারী উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে ভোলা শহর জুড়ে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ সহ পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করেন।
অসহায় নারী পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মোঃ জাকির হোসেন সোহেল ও পাপিয়া চৌধুরী উভয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বলেন, এ বারের মতো তাপদাহ এর আগে কখনও দেখেননি ভোলা সহ দেশবাসী এমনিতেই ভোলায় প্রচ- গাড়ির চাপ সামলাতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের তারা নানা রকম সমস্যায় শিকার সড়ক পথে। এ ছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত শব্দ দূষণ থেকে শুরু করে বায়ু দূষণের শিকার হতে হয় তাদেরসহ পথচারীদের। এর মধ্যে চলমান তাপদাহ তাদের কষ্টের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও তারা ভোলা সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কষ্ট কিছুটা কমাতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অসহায় নারী পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও নারী উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এর উভয়ে ট্রাফিক সহ পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করলো। এতে রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক সদস্যগণ হিট স্ট্রোকসহ পানি শূন্যতা, মাথাব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছে বলেও জানান সচেতন মহলের লোকজন। আবার অনেক ট্রাফিক সদস্যরা ডিহাইড্রেশনজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
যেসব ট্রাফিক সদস্যের হাই-প্রেসার আছে তাদের এই গরমে দায়িত্ব পালন করতে আরও বেশি সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ইউনিফর্ম পরে এ গরমে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আরও বেশি সমস্যা হচ্ছে। আবার যেসব পুলিশ বক্স টিন-শেডের সেখানে আরও ভয়াবহ গরম। ফলে সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার ও সুযোগ নেই।
কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ এম ওসমান গনি চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেন, দেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর ফলে চারদিকে চলছে নানান হা পিত্যেশ। একটু শীতলতার আশায় মানুষ বেছে নিচ্ছে নানা পন্থা। এমন তাপপ্রবাহে কেউ কেউ আবার বেছে নিচ্ছেন ঠান্ডা শরবত তাঁদের ধারণা, গরমে শরবত মেলে স্বস্তির শীতলতা। ঈদ পূর্ণমিলনী আয়োজনকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশসহ সাধারণ পথচারীদেরকে শরবত পান করার কাজে উৎসাহিত করে তরুণী সমাজকে সার্বিক সহযোগিতা আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় সভাপতি।
অসহায় নারী পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি নেওয়াজ শরীফ সমাপ্তি বক্তব্যে বলেন, স্বেচ্ছাসেবী বন্ধুদের হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা সমর্থন ও সহযোগিতায় আমরা ১ টি বছর একসঙ্গে স¤পন্ন করতে পেরেছি। অসহায় নারী পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর সংস্থার নীতি সমূহের প্রয়োগ ও সু-শাসনের মধ্যমে বিভিন্নমূখী গতিশীল কর্ম- পরিকল্পনা, অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, একতা, সততা, ও নিষ্ঠার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বর্তমান কেন্দ্রীয় বোর্ড। বর্তমান বোর্ড সংস্থার সদস্যদের জন্য নিবেদিত প্রাণ এবং দূরদর্শী, সৎ ও নিষ্ঠাবান সেবক এর মত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
ন্যায়, সত্য ও সুন্দর পথে থেকে আপোষহীন ভাবে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে, সংগঠনকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ। দীর্ঘমেয়াদে সংস্থার সদস্যদের সামগ্রিক কল্যাণে নিয়োজিত করার স্বপ্ন দেখি। তা বাস্তবায়নে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি। সদস্যাদের সামগ্রিক মঙ্গলে, সংগঠনকে উন্নয়নে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ও দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ একান্ত ভাবে কামনা করি। আপনারা সকলেই আমাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন ইনশাআল্লাহ এই প্রত্যাশায়।
সকালে শরবত এর বিতরণের কার্যক্রম শেষে দুপুরের খাবার পর তুলাতুলি আলাপন রেষ্টুরেন্টে ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক তানজিল হোসেন, অসহায় নারী পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি নেওয়াজ শরীফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি অজিউল্লাহ খোকন, সাধারণ সম্পাদক মৌসুমি সুলতানা প্রেমা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুলা আল মামুন, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আজিজ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তানভির তারেক, যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে হাফছা, শিশু বিষয়ক সম্পাদক মিতু রাণী মজুমদার আমন্ত্রণ অতিথি পিথু প্রমূখ।